১৯৯১ সালে একজন সাধারণ কৃষক ভিয়েতনামের
ফোন না-কে বাং ন্যশনাল পার্কের একটি গুহার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। গুহামুখে
প্রবেশের সময় তিনি ভেতর থেকে প্রচন্ড শব্দে পানির ভয়ংকর গর্জন শুনতে পান।
ভয়ে তিনি আর প্রবেশ করেন নি। স্থানীয় অধিবাসীরা গুহাটির নাম দেয় "সন ডুং"।
সবাই গুহাটিকে এত ভয় পেত আর রহস্যময় মনে করত যে কেউ কখনো প্রবেশ করার সাহস
করে নি।
২০০৯ সাল। হাও্যার্ড লিমবার্ডের নেতৃত্বে একদল বৃটিশ বিজ্ঞানী গুহায়
প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন। ভেতরে তারা আবিষ্কার করলেন স্বয়ংসম্পূর্ণ এক
পৃথিবী, ৫ কিলোমিটার লম্বা এবং ১৫০ মিটার চওড়া এই পৃথিবী তাক লাগিয়ে দিল
তাদের। সারা গুহা এক্সপ্লোর করে তারা নিশ্চিত করলেন "সন ডুং" বিশ্বের
সবচেয়ে দীর্ঘ গুহা।
এই অনন্য জায়গাটির আছে নিজস্ব উদ্ভিদকুল, প্রাণিকুল, লেক এমনকি মেঘ।
গুহায় যেতে হলে আপনাকে নামতে দড়ি বেয়ে প্রায় ৮০ মিটার। গুহার ভেতরে
আছে একটি নদী। প্রচন্ড ক্ষরস্রোতা সেই নদী। আরও আছে রঙিন পানির ছোট ছোট লেক
এমনকি বিচ। প্রচুর প্রাচীন ফসিল এবং স্টালাটাইটস এ সমৃদ্ধ গুহাটি। এখানকার
স্ট্যালাগমাইটগুলো রেকর্ড সাইজ দীর্ঘ, ৭০ মিটার লম্বা।
গুহার ঘন জঙ্গলে ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা গাছ জন্মায়। বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর
বাস এখানে। আছে বানর, হর্ণবিল পাখি আর বাদুড়। গুহাটির আছে নিজস্ব ভিন্ন
আবহাওয়া পরিমন্ডল। বাইরের আবহাওয়া এবং তাপমাত্রার সাথে বৈসাদৃশ্যের কারণে
চমৎকার মেঘমালা তৈরী হয় গুহার ভেতরেই।
মাটির নিচের অজানা বিশ্ব "সন ডুং"
Reviewed by BANGLA TRAVEL
on
13:11
Rating:

No comments: