শতবছরের ইতিহাসে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মীর পালাবদলের
মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী সংস্কৃতির অবিরাম যাত্রাপথ। আমাদের সার্বজনীন উৎসবের
রঙীন তিনটি পর্ব রোজার ঈদ বা ঈদ উল ফিতর, কুরবাণীর ঈদ বা ঈদ উল আযহা ও
বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ। দুই ঈদের আনন্দ সাবজনীনতা, ঈদের জন্য সকলের
প্রতীক্ষা জাতির সমস্ত মানুষের সম্পৃক্ততা, উদযাপন সবই অন্য যেকোন উৎসবের
চেয়ে আলাদা এবং পরিসরে বৃহৎ। মুসলিমের শাস্ত্রসিদ্দ উৎসব হলেও বাংলাদেশে
ঈদের আলাদা রং, রুপ ও স্বাদ আছে এবং অন্য ধর্মীরাও সে অনুভূতির ভাগ পায়।
এদুটি বাস্তব এবং বৃহৎকারণে ঈদ উৎসব আমাদের জীবনের এক বিশাল অধ্যায়। যার
স্পর্শ এবং প্রভাব গভীরতম। কিন্তু আমরা কি জানি কিভাবে ঈদের দুটি উৎসব
মুসলিমদের জন্য চালু হলো কি এর ইতিহাস?
প্রিয়নবী রসূল মুহাম্মদ (স.) এর সাথী বা সহচর আনাস (রা.) কথিত সুনাসে আবু দাউদের একটি হাদীসে বলা আছে ‘‘মদীনায় হিজরতের পর রসূল (স.) দেখতে পান মদীনার অধিবাসীরা দুদিন আমোদ প্রমোদ করে কাটায় এর একটি ছিলো ‘‘মাহরাজান’’ অন্যটি ‘‘নওরোজ’’ তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা আজ কি উদ্দেশ্যে আমোদ প্রমোদ করছো?
উত্তরে তারা জানালো আমরা জাহেলিয়াতের যুগে (ইসলাম পূর্ব যুগে) এই ২ দিবস আমোদ ফুর্তি করতাম। তখন নবী (স.) বললেন ‘‘আল্লাহ তোমাদের এই দুই দিনের পরিবর্তে উত্তম ২টি দিন দান করেছেন। এর একটি ঈদ উল ফিতর আর অন্যটি ঈদ উল আযহা।’’ ঈদ আরবি শব্দ এর দুটি অর্থ হয়, একটি খুশি বা আনন্দ। অন্যটি হলো বার বার ফিরে আসা। দুটি অর্থই ঈদের সাথে প্রাসঙ্গিক।
আমাদের দেশে প্রাক মুসলিম যুগে জাত-পাত কৌলন্যের কারণে জাতভেদে মানুষের জীবনাচার ও সংস্কৃতি ভিন্নছিলো। পরবর্তীতে মুসলিম জনগোষ্ঠির যে সংস্কৃতি তাতে পূর্বেকার সংস্কৃতির অনেক কিছুই থাকলো। প্রথম দিকে একটু বেশীই ছিলো। এই বেশীর মধ্যে ছিলো দেব-দেবীর নামে মানত, ঢাক-ঢোল পিটানো, বাজিফুটানো এবং বিয়ে অনুষ্ঠানের নানা উপ-আনুষ্ঠানিকতা। সংস্কৃতির নতুন ধারায় সকল ধরনের মানুষের মেলবন্ধন তৈরী হলেও আনুষ্ঠানিক সংস্কৃতিতে এখনো বিরাট ব্যবধান বা ভিন্নতা রয়ে গেছে।
সংস্কৃতির এতসব ধারার মধ্যে অনেক ধারাই এখনো জীবিত আছে। তথাপি সে ধারাটি তার বিপরীত বা পূরক ধারাটির সাথে এক ধরনের প্রতিযোগিতা অথবা সহযোগিতার মাধ্যমে পথ চলছে। ফলে দ্বি-মাত্রিক তত্বটা বহাল তবিয়তেই আছে। চর্তুদশীর দিনরাত দুটোই পার করছো আমাদের সংস্কৃতি।
ঈদের আনন্দ পরিবার রাষ্ট্র বা সমাজকে এমন ভাবে আচ্ছন্ন করে কয়েকটাদিন সকলেই আমোদে মেতে থাকে। এমনকি ঈদ চলে গেলেও ঈদের রেশ যেতে চায়না। নতুন জামা, বেড়ানো, অথবা পূর্ণমিলনী সবই অভাবনীয় পুলক জাগায়। ঘরে, রাস্তায়, অফিসে সর্বত্র রঙের ছোপটা বেশ ভালোভাবেই লাগে। বেশ কয়েকদিন আগে থেকে কেনাকাটা, ঈদে ঘরে ফেরা, রাজধানী, দেশের অন্যন্য শহর, গাঁয়ের ঈদগা সবই যেন এক উৎসবের সঙ্গী। শুধুযে শ্রেণী পেশা তাও না ভিন্ন ধর্মের লোকদেরও ঈদের আনন্দ আমন্ত্রন করে পুরো জাতি।
ঈদ মানে ঈদগায়ে ঈদের জামাত সেটাই কেবল ইসলামী এবং মুসলমানের রয়ে গেছে। এদের অন্য অনুসঙ্গ ও নতুন পরিসঙ্গগুলোর হয়েছে সকলের এবং ধর্মীয় চেতনাবিহীন। এসব বেশীর ভাগ অনুষ্ঠানের সাথে ঈদের কোনো সম্পর্ক নেই তবে সম্পর্ক আছে ঈদের আনন্দের। আনন্দ দোষের নয়। কিন্তু ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে ঈদকে ভুলে যাওয়া কাম্য নয়। বিশেষ করে ঈদের শিক্ষাকে। ধনী গরিব একছাতার নিচে এসে আনন্দ করার নামইতো ঈদ। কিন্তু আমাদের সমাজ প্রকৃত ঈদ থেকে দূরে সরে গিয়েছে বলেই মনে হয়।
প্রিয়নবী রসূল মুহাম্মদ (স.) এর সাথী বা সহচর আনাস (রা.) কথিত সুনাসে আবু দাউদের একটি হাদীসে বলা আছে ‘‘মদীনায় হিজরতের পর রসূল (স.) দেখতে পান মদীনার অধিবাসীরা দুদিন আমোদ প্রমোদ করে কাটায় এর একটি ছিলো ‘‘মাহরাজান’’ অন্যটি ‘‘নওরোজ’’ তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা আজ কি উদ্দেশ্যে আমোদ প্রমোদ করছো?
উত্তরে তারা জানালো আমরা জাহেলিয়াতের যুগে (ইসলাম পূর্ব যুগে) এই ২ দিবস আমোদ ফুর্তি করতাম। তখন নবী (স.) বললেন ‘‘আল্লাহ তোমাদের এই দুই দিনের পরিবর্তে উত্তম ২টি দিন দান করেছেন। এর একটি ঈদ উল ফিতর আর অন্যটি ঈদ উল আযহা।’’ ঈদ আরবি শব্দ এর দুটি অর্থ হয়, একটি খুশি বা আনন্দ। অন্যটি হলো বার বার ফিরে আসা। দুটি অর্থই ঈদের সাথে প্রাসঙ্গিক।
আমাদের দেশে প্রাক মুসলিম যুগে জাত-পাত কৌলন্যের কারণে জাতভেদে মানুষের জীবনাচার ও সংস্কৃতি ভিন্নছিলো। পরবর্তীতে মুসলিম জনগোষ্ঠির যে সংস্কৃতি তাতে পূর্বেকার সংস্কৃতির অনেক কিছুই থাকলো। প্রথম দিকে একটু বেশীই ছিলো। এই বেশীর মধ্যে ছিলো দেব-দেবীর নামে মানত, ঢাক-ঢোল পিটানো, বাজিফুটানো এবং বিয়ে অনুষ্ঠানের নানা উপ-আনুষ্ঠানিকতা। সংস্কৃতির নতুন ধারায় সকল ধরনের মানুষের মেলবন্ধন তৈরী হলেও আনুষ্ঠানিক সংস্কৃতিতে এখনো বিরাট ব্যবধান বা ভিন্নতা রয়ে গেছে।
সংস্কৃতির এতসব ধারার মধ্যে অনেক ধারাই এখনো জীবিত আছে। তথাপি সে ধারাটি তার বিপরীত বা পূরক ধারাটির সাথে এক ধরনের প্রতিযোগিতা অথবা সহযোগিতার মাধ্যমে পথ চলছে। ফলে দ্বি-মাত্রিক তত্বটা বহাল তবিয়তেই আছে। চর্তুদশীর দিনরাত দুটোই পার করছো আমাদের সংস্কৃতি।
ঈদের আনন্দ পরিবার রাষ্ট্র বা সমাজকে এমন ভাবে আচ্ছন্ন করে কয়েকটাদিন সকলেই আমোদে মেতে থাকে। এমনকি ঈদ চলে গেলেও ঈদের রেশ যেতে চায়না। নতুন জামা, বেড়ানো, অথবা পূর্ণমিলনী সবই অভাবনীয় পুলক জাগায়। ঘরে, রাস্তায়, অফিসে সর্বত্র রঙের ছোপটা বেশ ভালোভাবেই লাগে। বেশ কয়েকদিন আগে থেকে কেনাকাটা, ঈদে ঘরে ফেরা, রাজধানী, দেশের অন্যন্য শহর, গাঁয়ের ঈদগা সবই যেন এক উৎসবের সঙ্গী। শুধুযে শ্রেণী পেশা তাও না ভিন্ন ধর্মের লোকদেরও ঈদের আনন্দ আমন্ত্রন করে পুরো জাতি।
ঈদ মানে ঈদগায়ে ঈদের জামাত সেটাই কেবল ইসলামী এবং মুসলমানের রয়ে গেছে। এদের অন্য অনুসঙ্গ ও নতুন পরিসঙ্গগুলোর হয়েছে সকলের এবং ধর্মীয় চেতনাবিহীন। এসব বেশীর ভাগ অনুষ্ঠানের সাথে ঈদের কোনো সম্পর্ক নেই তবে সম্পর্ক আছে ঈদের আনন্দের। আনন্দ দোষের নয়। কিন্তু ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে ঈদকে ভুলে যাওয়া কাম্য নয়। বিশেষ করে ঈদের শিক্ষাকে। ধনী গরিব একছাতার নিচে এসে আনন্দ করার নামইতো ঈদ। কিন্তু আমাদের সমাজ প্রকৃত ঈদ থেকে দূরে সরে গিয়েছে বলেই মনে হয়।
কেমন করে ঈদ পেলাম
Reviewed by BANGLA TRAVEL
on
17:13
Rating:

No comments: