স্কুবা ডাইভিং একটি মজার অভিজ্ঞতা। ভাবুন, আপনি সমুদ্রের নীচে ভেসে
বেড়াচ্ছেন। গভীর নীল সমুদ্র যা সব সময় দূর থেকেই দেখে অভ্যস্ত আমরা। কখনো
হয়ত হাঁটু পানিতে নামা হয়। এর বেশী নয়। সেই সমুদ্রের নীচে গভীরে ভেসে
বেড়াচ্ছেন আপনি। আপনার পাশ দিয়ে সাঁতার কাটছে রঙ্গীন মাছ, সাতার কাটছে
কাছিম, ভাসছে জেলিফিশ, পাথরে পড়ে আছে স্টারফিশ। অনুভূতিটা একেবারে স্বর্গে
পৌঁছে যাওয়ার মত।
স্কুবা ডাইভিং পানির নিচে ডাইভ করাকে বোঝানো হয় যেখানে স্কুবা ডাইভার Self-contained underwater breathing apparatus (scuba)
ব্যবহার করেন শ্বাস নেওয়ার জন্য। ডাইভিং এর অন্য পদ্ধতিগুলো হল শ্বাস বন্ধ
করে রাখা, নলের সাহায্যে স্থলভাগ থেকে অক্সিজেন নেওয়া। কিন্তু স্কুবা
ডাইভিং ভিন্ন। এখানে ডাইভার নিজের সঙ্গে শ্বাস নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস
এবং বিশুদ্ধ বাতাস রাখে। ফলে সে ইচ্ছা মত সাগরের নিচে ভেসে বেড়াতে পারে। এই
স্বাধীনতার জন্যই স্কুবা জনপ্রিয়।
যে কেউ হুট করে চাইলেই কিন্তু স্কুবা ডাইভিং করতে পারবে না। স্কুবা
ডাইভিং একটি অ্যাডভেঞ্চার। এই অ্যাডভেঞ্চারের অংশ হতে হলে চাই
প্রশিক্ষণ। আছে আরো কিছু শর্ত। আসুন জেনে নিই কারা স্কুবায় অংশ নিতে
পারবেন, কারা পারবেন না।
স্কুবা ডাইভিং করতে যা যা লাগবে-
১। আপনাকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে।
২। প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আপনি যতই ভাল সাঁতারু হন না কেন পানির নিচে বেশিক্ষণ ডুবে থাকা একটি ভিন্ন বিষয়, যা আপনাকে শিখতে হবে।
৩। স্কুবার ব্যাবহার শিখতে হবে। যন্ত্রটি কিভাবে কাজ করে, কিভাবে বন্ধ করা যায়, হঠাৎ বন্ধ হলে কি করতে হবে এ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা নিতে হবে।
৪। পানির নিচে যোগাযোগ রক্ষার নিয়ম জানতে হবে। ওখানে যেহেতু আপনি কথা বলতে পারবেন না তাই কিছু ইশারার ভাষা জানা প্রয়োজন হবে। সেগুলো শিখে নেবেন।
যে শারীরিক সমস্যা থাকলে আপনি ডাইভিং করতে পারবেন না-
১। বড় কোন অপারেশন হয়ে থাকলে
২। হৃদপিণ্ডে কোন সমস্যা থাকলে
৩। কখনো স্ট্রোক হয়ে থাকলে
৪। লাংস, কিডনি ইত্যাদিতে বড় কোন সমস্যা থাকলে
৫। ঠান্ডাজনিত কোন অসুস্থতা থাকলে
৬।হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
অবশ্য করণীয় মেডিক্যাল চেকআপ
১। কার্ডিয়াক স্ট্রেস টেস্ট
২। লাংস স্ট্রেস টেস্ট
১। যে এজেন্সির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সে এজেন্সি কতটা দক্ষ তা আগে ভালো করে খোজ নিন।
২। স্কুবার যন্ত্রগুলো ঠিক আছে কিনা ভাল করে জেনে নিন।
৩।আবহাওয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুন। সমুদ্রের জোয়ার ভাটার সময় জেনে নিন।
৪। ইন্সট্রাক্টর ছাড়া অভিজ্ঞ না হলে কখনোই একা ডাইভিং এর সিদ্ধান্ত নেবেন না।
খরচ
২। প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আপনি যতই ভাল সাঁতারু হন না কেন পানির নিচে বেশিক্ষণ ডুবে থাকা একটি ভিন্ন বিষয়, যা আপনাকে শিখতে হবে।
৩। স্কুবার ব্যাবহার শিখতে হবে। যন্ত্রটি কিভাবে কাজ করে, কিভাবে বন্ধ করা যায়, হঠাৎ বন্ধ হলে কি করতে হবে এ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা নিতে হবে।
৪। পানির নিচে যোগাযোগ রক্ষার নিয়ম জানতে হবে। ওখানে যেহেতু আপনি কথা বলতে পারবেন না তাই কিছু ইশারার ভাষা জানা প্রয়োজন হবে। সেগুলো শিখে নেবেন।
যে শারীরিক সমস্যা থাকলে আপনি ডাইভিং করতে পারবেন না-
১। বড় কোন অপারেশন হয়ে থাকলে
২। হৃদপিণ্ডে কোন সমস্যা থাকলে
৩। কখনো স্ট্রোক হয়ে থাকলে
৪। লাংস, কিডনি ইত্যাদিতে বড় কোন সমস্যা থাকলে
৫। ঠান্ডাজনিত কোন অসুস্থতা থাকলে
৬।হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
অবশ্য করণীয় মেডিক্যাল চেকআপ
১। কার্ডিয়াক স্ট্রেস টেস্ট
২। লাংস স্ট্রেস টেস্ট
১। যে এজেন্সির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সে এজেন্সি কতটা দক্ষ তা আগে ভালো করে খোজ নিন।
২। স্কুবার যন্ত্রগুলো ঠিক আছে কিনা ভাল করে জেনে নিন।
৩।আবহাওয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুন। সমুদ্রের জোয়ার ভাটার সময় জেনে নিন।
৪। ইন্সট্রাক্টর ছাড়া অভিজ্ঞ না হলে কখনোই একা ডাইভিং এর সিদ্ধান্ত নেবেন না।
বাংলাদেশেও এখন স্কুবা প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। অপূর্ব সৌন্দর্যের আঁধার
সেন্ট মার্টিনে আপনি চাইলেই এখন সাগর তলের এই অভিযান চালাতে পারবেন।
যোগাযোগ-
১। কোরাল ভিউ রিসোর্ট - ০১৯৮০০০৪৭৭৭
২। ঢাকা ডাইভার্স ক্লাব - ০১৭১১৬৭১১৩০
৩। ওশেনিক স্কুভা ডাইভিং সার্ভিং- ০১৭১১৮৬৭৯৯১খরচ
জনপ্রতি ৩৫০০- ৪০০০ টাকা।
এবার তাহলে সেন্ট মার্টিনে গেলে অবশ্যই স্কুবা ডাইভিং করে আসবেন। পানির
নিচের অতুলনীয় এই অ্যাডভেঞ্চার জীবনের মানেই বদলে দেবে আপনার চোখে।
সৌন্দর্য সব সময় মনকে বড় করে, পবিত্র করে। তাই যতসম্ভব সৌন্দর্যের কাছে
যান। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন দেহে এবং মনে।
সাগরতলের রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার
Reviewed by BANGLA TRAVEL
on
16:02
Rating:

No comments: